সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এক প্রবাসী কামলার আগমন

এক প্রবাসী কামলার আগমন
লিখক - মোহাম্মদ মিজান
প্রায় পনেরো বছর পর বাড়ি যাচ্ছেন মোহাম্মদ নুর -বন্ধুদের সহযোগিতায় ছোট ছোট দুটি কার্টন বাঁধল,
বিশ কিলো করে,কারণ বিমানের টিকিটে লেখা আছে চল্লিশ কিলো বুকিং এ 'আর হাতে সাত কিলো ,
বেশি হলে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে ।
সন্ধ্যার পর বিমান ,এখন মাত্র দুপর দুইটা বাজে।এই ফাঁকে গা গোসল সেরে কিছু খেয়ে নিতে পারে ।
মোহাম্মদ নুর আজ অনেক খুশি ।
বহু দিন পর মায়ের সাথে দেখা হবে,
বাবার শরীরটা ও ভালো না-
ভালো একটা ডাক্তার দেখাবে।
ছোট্ট বোনটির কথা ভাবতেই মন খারাপ হলো,কত শখ ছিল বোনের বিয়েতে আমোদ ফুর্তি করবে ,
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তা কপালে জুটল না।তবুও ভালো লাগে -ভালো একটা ঘর দেখে তাকে বিয়ে দিতে পেরে ।বোনের বিয়েতে অনেক টাকা খরচ করতে হয়েছে,আবার বোন জামাইকে বিদেশ আনতে হলো ।
নিজে বিদেশ আসার সময় যে ঋণ নিয়েছে তা শোধ  করতেই লেগে গেল পাঁচ বছর । বোনের লেখা পড়ার খরচ ,মায়ের অপারেশন ,
বাবার হাটুর ব্যথার জন্য ও অনেক টাকা খরচ করতে হয়েছে । মোহাম্মদ নুর বিয়ে করেছে বিদেশে আসার এক বছর আগে,মোহাম্মদ নুর যখন বিদেশ যাচ্ছে
তখন তার বৌ ছয় মাসের অন্তঃস্বত্তা ছিল।মোহাম্মদ নুর বিদেশ আসার তিন মাস তেইশ দিন পর তার একটা ছেলে সন্তান জন্ম দেন রেনু, রেনু মোহাম্মদ নুরের স্ত্রী,রেনুর আসল নাম রেহানা আক্তার , মোহাম্মদ নুর সোহাগ করে তাকে রেনু ডাকে ।
এই সন্তান জন্মদেয়ার সময় ও এক বিপদ আসে মোহাম্মদ নুরের মাথার উপর ,গ্রাম্য অধ্যক্ষ ধাত্রীদারা ডেলিভারি করাতে গিয়ে রেনু ও তার সন্তানের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে ।
প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার আগেই ধাত্রী তার হাত ধারা বাচ্চার পানির থলে ছিড়ে ফেলে,এটা ধাত্রী মহিলার অজান্তেই হয়েছে, কারণ তিনি হাতের নখ কাটেন'নি-এবং কোনো হেন্ড গ্লাপস পরেনি।ফলে বাচ্চা ডেলিভারি হচ্ছিল না, একে একে দুই তিন দিন ধাত্রী পালটিয়ে পালটিয়ে চেষ্টা করা হলো,
রেনুর জীবন ঝুঁকিপূর্ণ দেখে তার বাবা একটি এমবুলেন্স নিয়ে দ্রুত হসপিটালে ইমার্জেন্সিতে নিয়েযান,
তখন রাত দুটোর কাছাকাছি , একজন অল্প বয়সী ছেলে আর একটি মেয়ে সাদা এপ্রোন পরে বসে আছে ।
রেনুর বাবা তাদেরকে বললেন -
আমার মেয়ের অবস্থা ভালো না ,
ডেলিভারি করাতে হবে একটু দেখেন,
তারা রেনু কে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে গেলো, সবাই বাহিরে অপেক্ষা করতে লাগল -
কিন্তু দুই ঘণ্টা পরেও  কোনও খবর আসছে না দেখে
রেনুর বাবা ও তার শশুর ইমার্জেন্সি রুমের দরজায় গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন- কি অবস্থা ?ডাক্তারের পোশাক পরা অল্প বয়সী ছেলে মেয়ে দুটো জবাব দিল আমরা অনেক চেষ্টা করেছি- কিন্তু !
রেনুর বাবা আতংকিত কন্ঠে বললেন, কি সমস্যা ?কিন্তু কি?।আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় আপনারা অন্য কোনো হসপিটালে নিয়ে যান । রেনুর বাবা উপায় বুদ্ধি না দেখে
রেনু কে তাড়াতাড়ি ইবনে সিনা হসপিটালে ইমার্জেন্সিতে নিয়েযান । সেখানকার ডাক্তার সাহেব রেনু কে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে দেখেন, প্রথম হসপিটালে ঐ আনাড়ি লোক  গুলো কোনো ডাক্তার'ই ছিল না, তারা না বুঝে রেনুর অপারেশন শুরু করে, পরে অবস্থা খারাপ দেখে পেটের মধ্যে টেপ লাগিয়ে অন্য হসপিটালে পাঠিয়ে দেন ।আসলে এই সমস্ত প্রইভেট হসপিটাল গুলো আনাড়ি আর ভাড়া করা ডাক্তার, নার্স দিয়েই চলে, আর তাই তো এত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
ইবনে সিনা হসপিটালের ডাক্তারসাহেব বলেন -এই পেপারে সই করেন,
যদি কোন দূর্ঘটনা ঘটে তখন আমাদের কে দায়ী করতে পারবেন না, রেনুর বাবা বলেন ঠিক আছে, তবে গাছ না বাঁচলে ও ফল বাঁচাতে হবে ডাক্তার,
মোহাম্মদ নুরের বাবা বলেন - আমি গাছ আর ফল দুটোই চাই।
আপনি চেষ্টা করেন বাকী আল্লাহ ভরসা ।ডাক্তার সবাই কে দু 'আ করতে বলে চলে গেলেন,দীর্ঘ তিন ঘণ্টা পরে ডাক্তার সুখবর দেন যে রেনুর একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন, কিন্তু রেনু ও তার সন্তান আশংকা মুক্ত নয় । আই সি ইউ তে রাখতে হবে,
এক সপ্তাহ আই সি ইউ তে রাখার পর  তারা সৃবভাবিক হয়।
মোহাম্মদ নুরের অনেক টাকা এখানে ও খরচ হলো ।মোহাম্মদ নুর গোসল করে বন্ধুদের সাথে খেলেন,
এক বন্ধুর গাড়িতে করে এয়ারপোর্টে যাবে, সবার সাথে হেন্ডসেক করার সময় এক বন্ধু বললেন দোস্ত কাজ করতে হাতে যে গেঁজ পড়েছে একটু তাবুকের (সিমিন্টের ইট) মধ্যে ঘষে নিলে ভালো হতো, দেশের মানুষের সাথে হাত মিলালেই বুঝে ফেলবে তুই বিদেশে ভালো কাজ করস নাই।
মোহাম্মদ নুর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন দোস্তরে শিবিল মারা আর তাবুক উঠানো কি সুখের কাজ! পাশে থেকে আরেক বন্ধু বলেন - নুর ভাই তুমি খেয়ে না খেয়ে দৈনিক দুই তিনটা কাজ করছ, শুধু বাপ ভাই আত্মিয় স্বজন করে করে ।মোহাম্মদ নুর বলেন - শুধু আমার কথা বল কেন ?
আমরা সব প্রবাসীরা ই এইরকম কষ্ট করে টাকা কামাই ।
তুমি কি কম কষ্ট করছো ? ।
মোহাম্মদ নুর বন্ধুদের কাছে বিদায় নিতে নিতে বলে ,
সবাই আমাকে মাপ করে দিও, অনেক বছর তোমাদেরসাথে ছিলাম, কখনো কোনো ভুল ট্রুটি করে থাকলে মন থেকে মুছে ফেলো, হায়াত -মৃত্যুর  কোনো গ্যারান্টি নাই, সবার চোখে পানি এসে গেল,সবাই মিলে তার মালামাল গাড়িতে উঠিয়ে দিল।এক বন্ধু বলল পাসপোর্ট, টিকেট সাবধানে রাখবে,
সবাই ফি আমানিল্লাহ বলে হাত নেড়ে বিদায় দিল।
মোহাম্মদ নুর গাড়িতে বসে সফরের দোয়া পড়ে নিলেন,
কিছুক্ষণ পর এয়ারপোর্টে পৌঁছে যায় ।
মালামাল বুকিং এ দিতে গিয়ে ঘটে অনাকাঙ্খিত ঘটনা,
মোহাম্মদ নুর বাসা থেকে ওজন দিয়ে কার্টন বাঁধল, বিশ কিলো করে দুই কার্টনে চল্লিশ কিলো,
কিন্তু এখানে এসে তা দুই কিলো বেড়ে গেছে, এখন তাকে অতিরিক্ত বার দিনার দিতে হলো।মোহাম্মদ নুরের মন খারাপ হলো, সব টাকা তো আগেই  পাঠিয়ে দিয়েছে , এখন পকেটে আছে মাত্র বিশ দিনার ভেবেছিল ইমেগ্রেশন পর বিমানে উঠার আগে ভিতর থেকে
মায়ের জন্য এক প্যাকেট দুধ,
ছেলের জন্য কিছু চকলেট আর বাবা ও বন্ধুদের জন্য কিছু সিগারেট কিনে নিবে ।তা আর হলো না ভরাকান্ত মন নিয়ে ইমেগ্রেশনের দিকে গেলেন, ওখানে ও আরো এক সমস্যা হলো তার হাতের ব্যাগটা ওজন দিতে বলা হলো,
মোহাম্মদ নুর গেইটে দাড়িয়ে থাকা নেপালী ছেলেটার হাতে দিল , ছেলেটি ওজন করে বলে তিন কেলো বেশি আছে,আপনাকে আঠারো দিনার দিতে হবে । মোহাম্মদ নুর অনেক কাকুতি মিনতি করে তার কাছে -যে তার কাছে এতো টাকা নেই, সে বলে তাহলে তিন কেলো ফেলে দিন।মোহাম্মদ নুর  ভাবনায় পড়ে যান এই হাত ব্যাগের ভেতর যা আছে তা ফেলানোর কিছুই নেই ।অনেক চিন্তিত মন নিয়ে এক পাশে দাড়িয়ে আছে,অল্প কিছুক্ষণ পরেই বিমান ছেড়ে দিবে, কি করবে ?
এখানে যে সব কাপড়চোপড়, এই মুহূর্তে একজন বাংলাদেশী লোক এসে মোহাম্মদ নুর কে বলে - মাল বেশি হয়েছে ?  মোহাম্মদ নুর বলল জ্বী  তিন কেলো ।লোকটি বলল কি কি মাল আছে? মোহাম্মদ নুর বলল ফ্যামিলির সবার জন্য কিছু কাপড় আর আমার ব্যাবহার করার জন্য নিজের দুইটা সার্ট আর একটা জ্যাকেট ।
লোকটি বলল আপনার কাপড় গুলো আপনি পরে নিন,মোহাম্মদ নুর বলেন - আমি তো কাপড় পরেছি ?
লোকটি বলল এগুলোর উপর দিয়েই পরে নিন,তাতে ওজন কিছুটা কমবে, আর বাকিটা আমি দেখছি ।
মোহাম্মদ নুর লোকটির কথা মত দুইটা সার্ট আর জ্যাকেট টা পরে নিলো ।নিজেকে অনেক মোটা মোটা লাগছে,
লোকটি বলল আপনার কাছে কত দিনার আছে?
মোহাম্মদ নুর বলল আট দিনার ভাই ।
লোকটি বলল পাঁচ দিনার আমাকে দিন আর আপনি ঐ নেপালি ছেলেটার সামনে দিয়ে চলে যান , আমি তাকে ইশারা করে দেবো, সে আপনাকে কিছু বলবে না ।মোহাম্মদ নুর অনেক চিন্তা ভাবনা করতে লাগলেন,
লোকটা বলল চিন্তা করে লাভ নেই, আমি যা বলছি তা করা ছাড়া আপনার আর উপাই নাই । আমি এখানে ক্লিনারের কাজ করি, আমরা এভাবেই যাদের মাল বেশী হয় তাদেরকে পার করে দেই ।মোহাম্মদ নুরের বুঝতে বাকি থাকল না ,এরা ইচ্ছা করেই প্রবাসী যাত্রীদের মাল আটক করে টাকা কামাই করে । কিন্তু কিছুই করার নেই ।
বিমানে উঠার আগে ভেতরে দোকান গুলোর দিকে তাকিয়ে  অনেক বড় একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলেন।যে সন্তানের জন্য , মায়ের জন্য , বাবা ও বন্ধুদের জন্য কিছুই নিতে পারলো না ।যথা সময়ের এক ঘন্টা পর বিমান এলো,
মোহাম্মদ নুর সব চেক্যাপ শেষে বিমানে বসলেন, এর আগে মোহাম্মদ নুর অতিরিক্ত যে দুইটা সার্ট আর
জ্যাকেট পরেছেন তা খুলে হাত ব্যাগের ভিতরে ঢুকিয়ে নিলেন । বিমানের ক্যাপ্টেন সফরের দোয়া পড়ালেন সবাইকে ।বিমান আকাশে উড়াল দিল, আর বিমানবালা -বিমানে যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে তাহলে কি ভাবে লাইফ জ্যাকেট পরতে হয় সবাই কে শিখিয়ে দিলেন।মোহাম্মদ নুরের সিট জানালার পাশেই পড়েছে,
সে জানালা দিয়ে তাকিয়ে আকাশ দেখার চেষ্টা করলো, কিন্তু রাতের অন্ধকারে তা আর দেখা হলো না,
এক সময়ে সে ঘুমিয়ে পড়ে ।হঠাৎ এক সময় বিমানের ভিতরে লাইট জ্বলে উঠল, একটি মহিলার কন্ঠে সবাইকে সিট বেল্ট বেঁধে নিতে বলা হচ্ছে ।
সম্মানিত যাত্রী সাধারণ দয়া করে আপনাদের সিট বেল্ট বেঁধে নিন আমরা অত্যন্ত দূর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, আর সবাই যার যার সৃষ্টিকর্তা কে স্বরণ করুন ।মোহাম্মদ নুর ভয় পেয়ে গেল কালেমা সহ যত দোয়া দরূদ জানা ছিল সব পড়তে লাগল, আর বিমানের ঝাকুনি দেখে নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে পানি চলে আসে । আল্লাহ্‌র রহমতে বিপদ মুক্ত হলো, বিমানে সবাইকে খাবার দেয়া হলো, সবার খাবার শেষ হলো, চা কফি ও দিলো ।খাবার শেষে মোহাম্মদ নুর চিন্তা করতে লাগল যদি আবার কোন বিপদ আপদ আসে ! বিমানের প্রতিটি  সিটের পিছনে ছোট টিভি আছে যার যার ইচ্ছা মত কোরআন তেলাওয়াত , নাচ গান  ছবি দেখতে পারে।
মোহাম্মদ নুর কোরআন তেলাওয়াত শুনছে হেডফোন লাগিয়ে ।কিছুক্ষণ পর বিমানবালা এসে সবাইকে দুটো করে পেপার দিয়ে গেল বলল পূরণ কর দিতে ।মোহাম্মদ নুর ক্লাস ফোর পাশ করেছিল, অভাবের কারণে লেখা পড়া বেশি করতে পারেনি, সে অন্য একজনকে জিজ্ঞেস করল কি ভাবে পূরণ করতে হবে ।ঐ লোক তাকে বুঝিয়ে দিল, মোহাম্মদ নুর তা পূরণ করে নিল,
কিন্তু তার পাশের সিটে বসা লোকটি লেখা পড়া জানেন না,
সে মোহাম্মদ নুর কে বলে তার টাও পূরণ করে দিতে ।
মোহাম্মদ নুর একটু ইতস্তত করে বলেন ভাই আমি বেশি লেখাপড়া জানি না, তাই ভুল হতেও পারে, লোকটা বলল সমস্যা নাই আপনি বাংলাতে লিখলে ও চলবে এটা এমন কিছু না । মোহাম্মদ নুর তার দিকে বিস্ময় নিয়ে তাকালো,
লোকটি বলল আপনি কি প্রথম সফর করছেন?মোহাম্মদ নুর জবাব দিল -জ্বী'পনের বছর পর প্রথম বাড়ি যাচ্ছি ।আপনি ? লোকটা বলল আমি প্রতি বছরই যাই,
আমার বছরে চল্লিশ দিনের ছুটি আছে । দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধু হতে লাগল একে অন্যের সুখ দুঃখের কথা বলাবলি করতে লাগলেন ।
এক সময় আবার ঘোষণা আসলো, আমরা অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবো ।
মোহাম্মদ নুরের মনের মধ্যে একটা আনন্দের ঢেউ খেলে গেল ।বহু বছর পর নিজের জন্ম ভূমির মাটি স্পর্শ করবে সে, জানালার দিয়ে তাকিয়ে দেখে ছোট ছোট বাড়ি ঘর দেখা যাচ্ছে, আঁকা বাঁকা নদী  খুব একটা বুঝা না গেলেও ভালোই লাগছে। বিমানে আরো ঘোষণা করে যে বিমান থামার পর ধীরেসুস্থে নিজ নিজ মালামাল মাথার উপরে রাখা লাগ্যাজ ক্যারিয়ার থেকে নামিয়ে নিতে যেন কোন বিপদ না ঘটে।মোহাম্মদ নুর তার হাত ব্যাগ নিয়ে ইমেগ্রেশন দিকে রওনা হল,সবাই ইমেগ্রেশন পুলিশের সামনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে এসময় এক ব্যক্তি এসে বলল সবাই পাসপোর্ট আর বিমানে পূরণ করতে যে (ব্যাগেজ ঘোষণা ফরম )দেয়া হয়েছে তা বের করেন।
মোহাম্মদ নুরের কাছে এসে বলে আপনার পেপার দেখান ।
মোহাম্মদ নুর তাকে পেপার দেখালো, সে পেপার দেখে বলল কি পূরণ করেছেন ?এভাবে পূরণ করলে তো ইমেগ্রেশন পুলিশ আপনাকে ছাড়বেন না, এদিকে আসেন আমি পূরণ করে দিচ্ছি,মোহাম্মদ নুর লাইন ছেড়ে তার সাথে কিছু দূরে একটা জায়গাতে গেল লোকটা মোহাম্মদ নুরের পাসপোর্ট আর বোডিং কার্ড নিয়ে নতুন একটা পেপারে সব লিখে দিয়ে বলে এক দিনার দিন, মোহাম্মদ নুর অবাক হয়ে বলেন -
কেনো একটা দিনার দেব ? লোকটি বলল আমি যে আপনার ফরম পূরণ করে দিলাম, মোহাম্মদ নুরের বুঝতে বাকি থাকল না বন্ধুদের মুখে এই দালালদের কথা অনেক শুনেছে বাড়াবাড়ি করলে মহা বিপদ, পকেট থেকে বের করে একটা দিনার দিয়ে দিল ।ইমেগ্রেশন পুলিশের অপ্রসংগিক কিছু প্রশ্ন করে মোহাম্মদ নুর কে ।যেমন =আপনার বাবার নাম কি ?
মায়ের নাম কি? কত সালে বিদেশ যান ?আপনার গ্রামের নাম কি ? ম্যাম্বার, চেয়ারম্যানের নাম কি ?
ইত্যাদি ইত্যাদি ।মোহাম্মদ নুর সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে বেরিয়ে এসে একটা ট্রলি নিয়ে দ্রুত লাগেজ যেখানে আসে সেই বেল্টের কাছে গিয়ে দাড়ায়, অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পর বেল্টে লাগেজ আসতে শুরু করল, ভেতর থেকে লাগেজ আর কার্টন গুলোকে এতো জোরে জোরে ফেলছে যে ভিতরের মালামাল গুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে, মোহাম্মদ নুর একটু দূরেই দাড়িয়ে ছিলো, ঐ লোক গুলোকে উদ্দেশ্য করে বলেন ওভাই একটু আস্তে আস্তে ফেলেন সব ভাঙি যাইবো ত।কে শুনে কার কথা, তাদের অন্তরে কোনো মায়া দয়া আছে বলে মনে হলো না । এর মধ্যে মোহাম্মদ নুরের একটি কার্টন বেল্টে আসলো মোহাম্মদ নুর ওটা ট্রলির মধ্যে রাখল, আর একটির জন্য অপেক্ষা করছে ,
কিন্তু একি! এক ব্যক্তি তার কার্টন টি বেল্ট থেকে নামিয়ে নিছে রেখে দিল, মোহাম্মদ নুর দৌড়ে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, আমার কার্টন আপনি নামিয়ে রাখলেন কেন? লোকটির গলায় একটি কার্ড ঝুলানো আছে,
মোহাম্মদ নুর ভেবেছিল কোনো অফিসার হবে, কিন্তু না
তার কথা শুনে সেরকম কিছু মনে হলো না,লোকটি জবাব দিল বেল্টে অনেক মাল তো তাই কিছু নামিয়ে রাখছি। মোহাম্মদ নুর একটু উচু গলায় বললেন -এভাবে নামিয়ে রাখলে মানুষ তার মালামাল খুঁজে পাবেনা ।লোকটি কড়া ভাষায় বললেন -আপনার টা পেয়েছেন তো ? এবার বিদায় হন।মোহাম্মদ নুরের এবার ও বুঝতে কষ্ট হলো না, এরাই এয়ারপোর্টে দালাল চক্র, প্রবাসীদের লাগেজ এভাবেই হারায়, তার বন্ধু মাসুদ বহু বার এসেও তার লাগেজ ফেরত পায়নি।কথা না বাড়িয়ে মোহাম্মদ নুর ট্রলি নিয়ে বাহিরের গেটের দিকে
চলতে লাগলেন, কিন্তু গেইটে আসতেই কিছু লোক তাকে গিরে ধরলো, কেউ বলে কি কি মাল আছে?
সিগারেট কত গুলো আছে? আমার সাথে আসেন কমিয়ে রাখবো ।মোহাম্মদ নুর বলল -ভাই আমার কাছে কাষ্টম দেয়ার মতো কোনো কিছু নাই ।
তারা বিশ্বাস করলো না ।
স্কেইনিং করাহলো , তার পর একজন বললো কার্টন খোলেন । মোহাম্মদ নুর  বলল কেন? আমাদের সন্দেহ আছে,
আপনার এখানে জুস মেশিন আছে,
মোহাম্মদ নুর বলে আমার মায়ের জন্য একটা জুস মেশিন নিয়েছি, তিনি ফল ফুরুট দাত দিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন না-তাই । কাষ্টম অফিসার বলেন হাতওয়ালা লম্বা কিছু দেখা যাচ্ছে, মোহাম্মদ নুর বলেন - ওটা একটি লাঠি, আমার বাবার জন্য তিনি হাটুর ব্যথার জন্য ঠিক মত হাটতে পারেন না তাই ।
কাষ্টম অফিসার আবার বলল, ডোর্নের মত আরো কি যেনো দেখা যাচ্ছে, আপনি কার্টন খোলেন আমি চেক করবো ।মোহাম্মদ নুর বললেন ওটা আমার ছেলের জন্য একটা খেলনা, রিমোট কন্ট্রোল হেলিকপ্টার, ডোর্ন নয়।
অফিসার কোনো কথাই বিশ্বাস করতে চাইছে না ।
বাধ্য হয়ে মোহাম্মদ নুর কার্টনের সকল বাঁধ খুলতে লাগল,
কিন্তু একজন লোক এসে কার্টনের রশি গুলো কাটতে শুরু করলেন, মোহাম্মদ নুর তাকে আকুতি মিনতি করে বলার পরেও সে কথা শুনল না ।কার্টনের সব মাল ঘেটে ঘেটে দেখল শুল্ক গোয়েন্দা অফিসার ।কিছুই পেলো না ।
হঠাৎ মোহাম্মদ নুরের নজরে এলো তার মায়ের জন্য যে জুস মেশিন নিয়েছিল তার ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে ।
নিজের অজান্তেই চোখে পানি চলে আসে ।আবার চিন্তা করতে লাগলেন এই মালামাল সে কিভাবে বাড়ি নিয়ে যাবে ? পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একজন বয়স্ক মানুষ চোখ মুছতে মুছতে নিজের হাজ্বী গামছার মধ্যে মালামাল গাট্টি বাঁধছেন, মোহাম্মদ নুর তাকে জিজ্ঞেস করল, চাচাজান কিভাবে হয়েছে ?
বৃদ্ধ লোকটি জবাব দিল, বাবারে কী আর বলুম!
আমরা বুড়া বুড়ি ওমরা করতে সৌদি আরব গেছিলাম আসার সময় পাঁচটি কাশ্মীরি শাল আনছিলাম,
আমাগো দুইজনের দুইটা, পোলা আর পোলার বৌ র দুইটা,
আমার মেয়েটার জন্য ও একটা শাল কিনি মদীনা থেকে ।
কিন্তু বাবাজী এরা আমার কথা বিশ্বাস করল না,
ব্যাগটা কেটে ফেলেছে ।
আমি চাবি খুঁজে পাচ্ছিলামনা তাই ।
এখন রুমালে বাঁধি লইতাছি । তই বাবা তোমার এই হাল কেন?  মোহাম্মদ নুর বলল -ঐ আপনার মতোই ।
পাশে থেকে আরেক ভাই খুব আকুতি মিনতি করে বলছে, অফিসার ভাই ও ভাই দুইটা সিগারেটের প্যাকেট রাখিয়েন না-একটা রাখেন, মোহাম্মদ নুর বুঝার চেষ্টা করলো কি হচ্ছে ? মোহাম্মদ নুর লোকটাকে জিজ্ঞেস করলেন,
কি হইছে ভাই ? লোকটি বলল আর বলবেন না- তিন প্যাকেট সিগারেট আনলাম বন্ধুদের জন্য, কিন্তু এরা এক প্যাকেট সিগারেট ধরিয়ে দিয়ে বাকী দুই প্যাকেট রেখে দিচ্ছে ।মোহাম্মদ নুর মনে মনে ভাবতে লাগলেন তার বাবার জন্য সিগারেট আনেনি ভালোই হয়েছে ।
মোহাম্মদ নুর এখন চিন্তা করতে লাগলেন কিভাবে এই মালামাল বাড়ি নিয়ে যাবে? মোহাম্মদ নুরের নজরে আসলো তার মালামালের মধ্যে দুটি কম্বল, ও দুটি বিছানার চাদর আছে যেই ভাবা সেই কাজ বিছানার চাদর বিছিয়ে তার উপর কম্বল বিছিয়ে মালামাল গুলোকে দুটো গাট্টি বেঁধে নিল ।ট্রলিতে উঠিয়ে নিয়ে বাহিরের দিকে রওনা দিল, বাহিরে অপেক্ষা করছে তার আদরের বৌ আর প্রিয় সন্তান যাকে সে জন্মের পর এই প্রথম দেখবে ।
মোহাম্মদ নুরের সন্তান ক্লাস এইটে পরিক্ষা দিয়েছে।
সাথে তার বাবা আর শশুর ও আছে,
মোহাম্মদ নুর বাহিরে বের হতেই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, একি! মানুষ আর মানুষ মালামাল নিয়ে অপেক্ষা করছে, আর খাকি পোশাক পরা আনসার গুলো লাঠি দিয়ে সরে যেতে হুমকি ধমকি দিচ্ছে,স্বজনের জন্য অপেক্ষমান মানুষ গুলো কি করবে ?
মোহাম্মদ নুরের কাছে এসে একটা লোক বলল ফোন করবেন ? মোহাম্মদ নুর সরল মনে বলল- জ্বী'
যদি একটা কল করতে দেন তো ভালোই হয়,
লোকটি বলল করেন সমস্যা নেই করেন । মোহাম্মদ নুর লোকটির আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল,
মোহাম্মদ নুর তার বাবাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন তিনি কোথায় আছেন? মোহাম্মদ নুরের বাবা বললেন আমরা বাহিরে আছি তুমি পার্কিং এ চলে আস, ওখানে আনসার পুলিশ দাঁড়াতে দিচ্ছে না ।একবার একশত টাকা দিয়ে দশ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলাম, মোহাম্মদ নুর বলল ঠিক আছে বাবা আমি পার্কিং এ আসছি , মোবাইল ফোনটা ঐ লোককে ফেরত দিতে দিতে ধন্যবাদ জানিয়ে পার্কিংএর
দিকে রওনা দিতেই ঐ লোক বলে উঠল ধন্যবাদ দিয়ে পেট চলে না ভাই, এক দিনার দেন ।
মোহাম্মদ নুর আশ্চর্য্য হয়ে গেল, দুই মিনিট ও কথা বলিনি
আপনি এক দিনার চাচ্ছেন কেন ?
লোকটি খুব কর্কশ ভাষায় বললেন - এক দিনার দেয়া ছাড়া এক পাও নড়বেন না ।মোহাম্মদ নুর আবার বুঝতে পারছেন এটাও দালাল, এয়ারপোর্ট কর্মকর্তাদের হাত করে
এয়ারপোর্টে এই ব্যাবসা করে -
যাচ্ছে । মোহাম্মদ নুর তাকে ও এক দিনার দিলো,
পার্কিংএর এক কোণে দাড়িয়ে আছেন মোহাম্মদ নুর -
এমন সময়ে একজন আনসার এসে বলল এখানে কি করস?  মোহাম্মদ নুর তার ব্যবহার শুনে মর্মাহত হলো, খুব শান্ত গলায় বলল ভাই ব্যবহার টা একটু সুন্দর করে করেন । ঐ আনসার লোকটি মোহাম্মদ নুরের
ট্রলিতে একটা লাথি দিয়ে বলল, ঐ বেটা তোর মত দুই পয়সার কামলার সাথে আর কি ভালো ব্যবহার করব ?
আনসার লোকটির লাথির সাথে সাথে মোহাম্মদ নুরের ট্রলি কাত হয়ে পড়ে গেল, সমস্ত মলামাল পার্কিংএ ছড়িয়ে গেল, পাশে আরো কিছু লোক দাঁড়িয়ে ছিল তারা ঐ আনসার সদস্যকে বলল আপনি কাজটি ঠিক করেন নাই ।
ঐ লোকটি আরো চড়াও হলো সব প্রবাসী কে মুর্খ কামলা বলে গালি দিতে লাগল, অনেক মানুষ জমা হয়ে গেল,
মানুষের জটলা দেখে পাশে থেকে একজন পুলিশ অফিসার আসল । সেও এক পর্যায়ে বলে উঠল
কামলা কে কামলা বললে দোষ কি ?
তারা তো বিদেশে কামলা গিরি করতেই যায় । আমাদের মত লেখা পড়া জানলে তো দেশেই বড় বড় অফিসার হতে পারতো ।
এতক্ষণ মোহাম্মদ নুর কিছুই বলল না,
এই অফিসারের কথা শুনে বুকের ভেতরের আগুন টা যেন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল।
মোহাম্মদ নুর ঐ অফিসার আর আনসার কে বলল দাড়ান কোথায় যাচ্ছেন ?
আমার কিছু কথা আছে -
সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে , মোহাম্মদ নুর বলতে শুরু করলেন -অফিসার আপনার বেতন কে দেন জানেন ?
আমরা দেই,
এই কামলার বাচ্চা কামলা রা দেয় ।
আপনাদের দামী দামী বাড়ি ,গাড়ি , পোশাক দামী মোবাইল ফোন সব এই কামলাদের টাকায় কেনা ।
এদেশের মন্ত্রী, এমপি হতে শুরু করে সবাই এই কামলার টাকা খেয়েই বেঁচে আছে ।
এক কোটি প্রবাসী কামলার রক্ত ঘাম ঝরা টাকায় এদেশ চলে, অস্বীকার করতে পারবেন ?
এই হাত দেখেন গেঁজ পড়ে গেছে পরের দেশে কাজ করতে করতে ।
স্বাধীনতা সংগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে কোনো অংশে কম না এই প্রবাসী কামলারা।
তাই এই কামলাদের সম্পর্কে কিছু বলার আগে চিন্তা ভাবনা করে বলবেন ।এ সময় অনেকেই ফেসবুকে লাইভ দেখান, সাংবাদিক ভাইয়েরা ও খবর প্রচার করেন,
সবাই মোহাম্মদ নুরের সাথে একাত্মতা ঘোষণাকরেন ।
মোহাম্মদ নুর আরো বলেন, আমরাই এক মাত্র জাতি যাদের প্রবাসে যেতে সাত থেকে আট লক্ষ টাকা খরচ করতে হয় ।তার পরেও ভালো চাকরি পাইনা ।
প্রবাসী দূতাবাস থেকে ও তেমন সেবা পাইনা,
দেশে একটা বাড়ি করতে গেলে ও সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ মাস্তানেরা শান্তি দিচ্ছে না । অনেক প্রবাসী ভাই জীবন ও হারিয়েছে। আমার সকল প্রবাসী ভাইদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।
আমাদের প্রবাসী ভাই বোনের দুঃখ কষ্ট লাগবে তিনি একটা কিছু করবেন ।ততক্ষণে মোহাম্মদ নুরের বাবা গাড়ি নিয়ে চলে আসেন। সবাই মোহাম্মদ নুর কে হাত নেড়ে বিদায় জানাল, আর ঐ পুলিশ অফিসার ও আনসার কে দিল দিক্কার ।
এখানেই একটা প্রবাসী কামলার আগমন সমাপ্ত হলো ।।।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সময়ের উক্তি

  সময়ের উক্তি ((((মোহাম্মদ মিজান)))) বিবস্ত্রকে নির্লজ্জ বললে কিবা যায় আসে ! যাঁকে দেখে লজ্জা শরম মিটমিটিয়ে হাসে! হিংসুটেরা মহা খুশি আজ মাজারে করবে ফুর্তি, তাড়িয়ে ছাড়ল কুরআন পাখি দিয়ে ভ্রান্ত যুক্তি । অন্ধের দেশে   কুরআন আয়না          বেচতে এলেন                   আজহারী,             গাঁজার কোলকি           হাতে নিয়ে    তাড়িয়ে ছাড়ল মাজারী। (মোহাম্মদ মিজান) কে মাজারী?কে বাজারি? চিনিয়ে দিল আজহারী, বুঝে গেছেন এ যুবসমাজ কুরআন বেশি দরকারি। (মোহাম্মদ মিজান) নর্তকী আর হরতকি কদিন থাকে শাখে? ভালো মানুষেরা এ তেল গায়ে কি আর মাখে? (((মোহাম্মদ মিজান))) ঝর্ড় বৃষ্টি কিছুই নেই তবু হুজুরের       জনপ্রিয়তার সংকট , বর্তমান যুবসমাজ সচেতন তাই        শুরু হয়েছে বয়কট। (((মোহাম্মদ মিজ...

সময়ের উক্তি

  সময়ের উক্তি ((((মোহাম্মদ মিজান)))) বিবস্ত্রকে নির্লজ্জ বললে কিবা যায় আসে ! যাঁকে দেখে লজ্জা শরম মিটমিটিয়ে হাসে! হিংসুটেরা মহা খুশি আজ মাজারে করবে ফুর্তি, তাড়িয়ে ছাড়ল কুরআন পাখি দিয়ে ভ্রান্ত যুক্তি । অন্ধের দেশে   কুরআন আয়না          বেচতে এলেন                   আজহারী,             গাঁজার কোলকি           হাতে নিয়ে    তাড়িয়ে ছাড়ল মাজারী। (মোহাম্মদ মিজান) কে মাজারী?কে বাজারি? চিনিয়ে দিল আজহারী, বুঝে গেছেন এ যুবসমাজ কুরআন বেশি দরকারি। (মোহাম্মদ মিজান) নর্তকী আর হরতকি কদিন থাকে শাখে? ভালো মানুষেরা এ তেল গায়ে কি আর মাখে? (((মোহাম্মদ মিজান))) ঝর্ড় বৃষ্টি কিছুই নেই তবু হুজুরের       জনপ্রিয়তার সংকট , বর্তমান যুবসমাজ সচেতন তাই        শুরু হয়েছে বয়কট। (((মোহাম্মদ মিজ...

সময়ের উক্তি : ✍️মোহাম্মদ মিজান

সময়ের উক্তি ((((লেখক✍️মোহাম্মদ মিজান)))) বিবস্ত্রকে নির্লজ্জ বললে কিবা যায় আসে ! যাঁকে দেখে লজ্জা শরম মিটমিটিয়ে হাসে! হিংসুটেরা মহা খুশি আজ মাজারে করবে ফুর্তি, তাড়িয়ে ছাড়ল কুরআন পাখি দিয়ে ভ্রান্ত যুক্তি । অন্ধের দেশে   কুরআন আয়না          বেচতে এলেন                   আজহারী,             গাঁজার কোলকি           হাতে নিয়ে    তাড়িয়ে ছাড়ল মাজারী। (মোহাম্মদ মিজান) কে মাজারী?কে বাজারি? চিনিয়ে দিল আজহারী, বুঝে গেছেন এ যুবসমাজ কুরআন বেশি দরকারি। (মোহাম্মদ মিজান) নর্তকী আর হরতকি কদিন থাকে শাখে? ভালো মানুষেরা এ তেল গায়ে কি আর মাখে? (((মোহাম্মদ মিজান))) ঝর্ড় বৃষ্টি কিছুই নেই তবু হুজুরের       জনপ্রিয়তার সংকট , বর্তমান যুবসমাজ সচেতন তাই        শুরু হয়েছে বয়কট। (((মোহাম্মদ মিজা...