সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভ্যালেইটাইন-ছোট্ট গল্প --মোহাম্মদ মিজান - - -

-
আনোয়ারুল ইসলাম -
সারাদিন মাঠে কাজ করে বাড়ি
ফিরে কোমরে গুজে রাখা সারাদিনের পরিশ্রমের দুইশ টাকা জামার পকেটে রেখে পুকুরের দিকে গেলেন ।
উদ্দেশ্য হাত মুখ ধুয়ে বাজারে যাবেন -
অনেক দিন পর কাজ পেলেন,
আজকে আধা কিলো হলেও মাছ কিনবেন।
ছোট মেয়েটা প্রতিদিন ভাত খেতে বসে মাছের কথা জিজ্ঞেস করে।
ঐ দিকে তার কলেজে পড়ুয়া ছেলে আমিরুল ঘাপটি মেরে বসে আছে কিভাবে বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করবে।
আনোয়ারুল ইসলাম যেই পুকুরে হাত মুখ ধুতে নামলেন,
অমনি টাকা গুলো নিয়ে দ্রুত চলে গেল আমিরুল ।
কারণ এই টাকা যে তার চাই,
বন্ধুদের সাথে ভ্যালেন্টাইন দিবস পালন করতে হবে ।
আর মেয়ে বান্ধবী কে একটা গোলাপ ফুল দিতে হবে ।
রাত বারোটার পর ১৪ এ
ফেব্রুয়ারী , বিশ্ব ভালবাসা দিবস।
ঐ দিকে আমিরুলের জন্য বট গাছের নিচে অপেক্ষা করছে তার বন্ধু,
জন্টু, শাহীন, মাসুদ ।
আমিরুলের আসতে দেরী দেখে সবাই অস্থির হয়ে আছে ।
আর বান্ধবীদের ফোনের উপরে ফোন।
এমন সময় আমিরুল দৌড়াতে দৌড়াতে তাদের কাছে আসে -বলে দোস্ত দেরী হওয়ার জন্য দুঃখিত।
সুমিরা কি ফোন দিয়েছিল ?
শাহীন বলে শুধু ফোন দেয়নি লগে ঝাড়ি ও দিছে ।
মাসুদ বলে দোস্ত তোমার টা কিন্তু ভীষণ চটে আছে ।
জন্টু বলে তারা অনেক আগেই পার্কে বসে আছে ।
আমরা যখন বললাম তোমার জন্য লেইট হচ্ছে,
আরকি তোমার ফাল্গুনী তো রেগে আগুনী হয়ে বলে আজকে আসুক মজা দেখাবো।
আমিরুল বলে, বলিস কি? তা হলে তো আমি শেষ ।
সবাই বান্ধবীদের সাথে দেখা করতে পার্কে চলে যায় ।
এদিকে আনোয়ারুল ইসলাম ছোট মেয়েকে বলে,
আব্বুকে বাজারের ব্যাগ দাও তো মা,
সাত বছরের মেয়ে বাজারের ব্যাগ এনে হাতে দিল।
আনোয়ারুল ইসলাম মেয়েকে আদর করে দিতে দিতে বলেন আজকে বাজার থেকে তোমার জন্য মাছ আর জিলাপি নিয়ে আসবো।
মেয়ে খুব খুশি হয়ে বলে, সত্যি আব্বু ?আনোয়ারুল ইসলাম মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলেন -
হে রে মা হে, আব্বু আজ কাজ করে দুইশ টাকা পেয়েছি।
চাউল, ঢাউল, তরু তরকারির পাশাপাশি মাছ আর জিলাপি ও আনবো- আব্বু ।
মেয়ে খুব খুশি হয়।
আনোয়ারুল ইসলাম মাগরিবের নামাজ পড়ে বাজারে যান।
উদ্দেশ্য সন্ধ্যার পর মাছের দাম কিছুটা কমে।
আনোয়ারুল ইসলাম প্রথমে মাছ বাজারে যান ।
একশত বিশ টাকা করে পাংঙ্গাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ।
আনোয়ারুল ইসলাম আধা কেজি ওজনের একটি পাংঙ্গাশ মাছ ওজন করে ব্যাগে ভরে নিলেন ।
দাম আসল সত্তর টাকা ।
আনোয়ারুল ইসলাম টাকা দেয়ার জন্য পকেটে হাত দিয়ে দেখেন পকেটে টাকা নেই।
বিরাট চিন্তায় ও লজ্জায় পড়ে যান।
ডানে বামে সব পকেট চেক করে দেখতে লাগলেন।
আনোয়ারুল ইসলামের  অবস্থা দেখে মাছ ব্যবসায়ী বলেন -আপনি কি টাকা হারিয়ে ফেলেছেন?
আনোয়ারুল ইসলাম হতাশ কন্ঠে জবাব দিলেন ,
মনে হচ্ছে তাই ।
আমি দুইশ টাকা নিয়ে বাজারে আসি , কিন্তু ------
আনোয়ারুল ইসলাম মাছ ব্যবসায়ী কে বলেন আপনার মাছ রেখেদিন ,
আমি টাকা টা খোঁজ করে দেখি।
আনোয়ারুল ইসলাম সারা বাজার তন্ন তন্ন করে খুঁজে ।
যে পথে তিনি বাজারে আসলেন সেই পথে কয়েক বার দেখলেন।
মসজিদে ও খোঁজ করলেন ।
এভাবে খোঁজ করতে করতে অনেক রাত হয়ে গেল ।
অবশেষে হতাশ হয়ে শুন্য হাতে বাড়ি ফিরে আসেন।
উঠানে পা রাখতেই মেয়েটা দৌড়ে এসে বাপকে জড়িয়ে ধরে বলে,
আব্বু জিলাপি আর মাছ আনছ ?
আনোয়ারুল ইসলাম পাথরের মত দাঁড়িয়ে আছে,
আর চোখ থেকে পানি ঝরছে ।
মেয়ে বার বার জানতে চাইছে ।
আনোয়ারুল ইসলাম খুব করুণ কন্ঠে বললেন, নারে মা আব্বু কিছুই আনতে পারি নাই ।
মেয়ে বলে কেন আনতে পারেন নাই ।
আনোয়ারুল ইসলাম মেয়েকে আদর করে বললেন ,
আব্বু যে টাকা হারিয়ে ফেলেছি ।
মেয়ে আরো জোরে কান্না শুরু করে,
আনোয়ারুল ইসলাম মেয়েকে শান্তনা দিয়ে বললেন আব্বু পুকুর পাড়ে থেকে খোঁজ করে দেখি তুমি আর কান্দি ও না ।কিন্তু মেয়ের কান্না আর ও বেড়ে গেল,
কাঁন্দতে কাঁদতে ঘরের ভেতর চলে যায়। 
আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী মেয়েকে বুঝানোর চেষ্টা করে ও ব্যর্থ হলেন। অভাব অনটনের সংসারে মেয়ের কান্না বিষের মত লাগছে তাই মেজাজ খারাপ হয়,
হাতের কাছে যা পেয়েছেন তা দিয়ে ইচ্ছা মত মেয়েকে মাইর শুরু করলেন ।
আনোয়ারুল ইসলাম পুকুর পাড় থেকে দৌড়ে এসে মেয়েকে নিয়ে উঠানে ছলে আসেন, আর বলতে লাগলেন ছোট্ট মেয়ে এভাবে মারতে হয় নাকি?
বলতে বলতে মেয়েকে নিয়ে ঘরের দরজার সামনে বসে গেলেন ।
মেয়ের শরীর কিছুটা কেটে গেছে।
আনোয়ারুল ইসলাম মেয়েকে কোলে বসিয়ে আদর করতে করতে বললেন - আব্বু  কালকে আবার কাজ করে যে টাকা পাবো তা দিয়ে তোমার জন্য মাছ আর জিলাপি কিনে আনবো মা, এখন আর কান্দে না।
আনোয়ারুল ইসলাম মেয়েকে শান্তনা দিচ্ছেন।
আর মেয়ে ও কান্না থামিয়ে বাপকে বলে , আব্বু টাকা গুলো
আপনি শক্ত করে হাতের মুঠে ধরে রাখবেন । 
আনোয়ারুল ইসলাম মেয়েকে শান্তনা দিয়ে বললেন ঠিক আছে মা,
আমি খুব শক্ত করে ধরে রাখব আর হারাবো না।
মেয়ের সাথে কথা বলতে বলতে এক সময়ে মেয়ে তার কোলে ঘুমিয়ে পড়ে।
আনোয়ারুল ইসলাম মেয়েকে নিয়ে দরজার সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে । আর মনে মনে ভাবতে লাগলেন কিভাবে এতো কষ্টের টাকা গুলো হারিয়ে ফেললেন?
আর স্ত্রীকে ও কি বলবেন ?
অভাবের সংসারে আর কতক্ষণ মেজাজ ঠিক থাকে ।
আনোয়ারুল ইসলাম আকাশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কথা গুলো ভাবছেন।
কখন যে রাত দুটোর কাছাকাছি হয়ে গেল।
হঠাৎ আমিরুলের কন্ঠ শুনে আনোয়ারুল ইসলামের চৈতন্য ফিরে আসে ।
আমিরুল জানতে চায় তার বোন  সুমির কি হয়েছে?
আমিরুল ভেবেছিল এতো রাতে মা বাবা সবাই ঘুমিয়ে আছে সে চুপি চুপি ঘরে ঢুকে ঘুমিয়ে যাবে।
আর টাকার কথা জিজ্ঞাসা করলে বলবে সেতো বাড়িতেই ছিল না।
কিন্তু বোন আর বাপের এ অবস্থা দেখে সামনে আসতে বাধ্য হলো।
আনোয়ারুল ইসলাম একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,
টাকা হারিয়ে যাওয়াতে বাজার থেকে কিছুই আনতে পারে নাই,
আর সুমি মাছ আর জিলাপির জন্য কান্না করাতে তোমার মা খুব মেরেছে।
কিছু না খেয়েই ঘুমিয়ে আছে।
আমিরুল বোনের গায়ে মায়ের মাইরের দাগ গুলো হাত বুলিয়ে দেখছে আর কাঁন্দছে ,
বোনকে বাপের কোল থেকে নিজের বুকে জড়িয়ে ধরে নিল।
আর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ঘরের ভেতরে নিয়ে গেল,
বোনকে নিজের বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বাহিরে এসে বাপের দুই পা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল।
আনোয়ারুল ইসলাম কিছু বুঝতে না পেরে ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছে?
আমিরুল টাকা চুরি করে বন্ধুদের সাথে ভ্যালেন্টাইন দিবস পালনের সব কথা বলতে লাগল ।
আনোয়ারুল ইসলাম ছেলের অনুতপ্ত মুখ দেখে সব ভুলে গেলেন ।
ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন,
তুমি কি জানো এই ভ্যালেন্টাইন দিবসের ইতিহাস?
আমিরুল বলল সবাই ভালোবাসা দিবস পালন করে তাই!
আনোয়ারুল ইসলাম বললেন - তাই তুমি ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করতে চলে গেলে ?
আসল ভালোবাসা কি?
তুমি কি তা জানো ?
আসল ভালোবাসা হলো মা বাবা ভাই বোন,
আর পরিবারের সদস্যদের সুখ দুঃখ ভাগ করে নেয়া।
ভালোবাসা একদিন নয় ।
প্রকৃত ভালোবাসা প্রতিদিন, সবসময়।
আর এই ভালোবাসা দিবস কি তা শুনো- আমি বলছি -
২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইন'স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন।
ধর্ম প্রচারের-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন।
এতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন'স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন।
খৃষ্টান জগতে পাদ্রী-সাধু সন্তানদের স্মরণ ও কর্মের জন্য এ ধরনের অনেক দিবস রয়েছে। যেমন: ২৩ এপ্রিল - সেন্ট জজ ডে, ১১ নভেম্বর - সেন্ট মার্টিন ডে, ২৪ আগস্ট - সেন্ট বার্থোলোমিজম ডে, ১ নভেম্বর - আল সেইন্টম ডে, ৩০ নভেম্বর - সেন্ট এন্ড্রু ডে, ১৭ মার্চ - সেন্ট প্যাট্রিক ডে।
পাশ্চাত্যের ক্ষেত্রে জন্মদিনের উৎসব, ধর্মোৎসব সবক্ষেত্রেই ভোগের বিষয়টি মুখ্য। তাই গির্জা অভ্যন্তরেও মদ্যপানে তারা কসুর করে না।
খৃস্টীয় এই ভ্যালেন্টাইন দিবসের চেতনা বিনষ্ট হওয়ায় ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ভ্যালেইটাইন উৎসব নিষিদ্ধ করা হয়। ইংল্যান্ডে ক্ষমতাসীন পিউরিটানরাও একসময় প্রশাসনিকভাবে এ দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানিতে বিভিন্ন সময়ে এ দিবস প্রত্যাখ্যাত হয়।
আমিরুল বলে বাবা আমি আমার ভুলের জন্য অনেক অনুতপ্ত ,
জীবনে আর কখনো ঈহুদি নাচারাদের কোনো অনুষ্টান পালন করবোনা।
এই তোমায় ছুঁয়ে কথা দিলাম।
আর আজ থেকে ভালোবাসা দিবস কে
ঘৃণা করবো ।
রচনাকাল : ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ ইং
তথ্য সংগ্রহ -গুগল থেকে ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সময়ের উক্তি

  সময়ের উক্তি ((((মোহাম্মদ মিজান)))) বিবস্ত্রকে নির্লজ্জ বললে কিবা যায় আসে ! যাঁকে দেখে লজ্জা শরম মিটমিটিয়ে হাসে! হিংসুটেরা মহা খুশি আজ মাজারে করবে ফুর্তি, তাড়িয়ে ছাড়ল কুরআন পাখি দিয়ে ভ্রান্ত যুক্তি । অন্ধের দেশে   কুরআন আয়না          বেচতে এলেন                   আজহারী,             গাঁজার কোলকি           হাতে নিয়ে    তাড়িয়ে ছাড়ল মাজারী। (মোহাম্মদ মিজান) কে মাজারী?কে বাজারি? চিনিয়ে দিল আজহারী, বুঝে গেছেন এ যুবসমাজ কুরআন বেশি দরকারি। (মোহাম্মদ মিজান) নর্তকী আর হরতকি কদিন থাকে শাখে? ভালো মানুষেরা এ তেল গায়ে কি আর মাখে? (((মোহাম্মদ মিজান))) ঝর্ড় বৃষ্টি কিছুই নেই তবু হুজুরের       জনপ্রিয়তার সংকট , বর্তমান যুবসমাজ সচেতন তাই        শুরু হয়েছে বয়কট। (((মোহাম্মদ মিজ...

সময়ের উক্তি

  সময়ের উক্তি ((((মোহাম্মদ মিজান)))) বিবস্ত্রকে নির্লজ্জ বললে কিবা যায় আসে ! যাঁকে দেখে লজ্জা শরম মিটমিটিয়ে হাসে! হিংসুটেরা মহা খুশি আজ মাজারে করবে ফুর্তি, তাড়িয়ে ছাড়ল কুরআন পাখি দিয়ে ভ্রান্ত যুক্তি । অন্ধের দেশে   কুরআন আয়না          বেচতে এলেন                   আজহারী,             গাঁজার কোলকি           হাতে নিয়ে    তাড়িয়ে ছাড়ল মাজারী। (মোহাম্মদ মিজান) কে মাজারী?কে বাজারি? চিনিয়ে দিল আজহারী, বুঝে গেছেন এ যুবসমাজ কুরআন বেশি দরকারি। (মোহাম্মদ মিজান) নর্তকী আর হরতকি কদিন থাকে শাখে? ভালো মানুষেরা এ তেল গায়ে কি আর মাখে? (((মোহাম্মদ মিজান))) ঝর্ড় বৃষ্টি কিছুই নেই তবু হুজুরের       জনপ্রিয়তার সংকট , বর্তমান যুবসমাজ সচেতন তাই        শুরু হয়েছে বয়কট। (((মোহাম্মদ মিজ...

সময়ের উক্তি : ✍️মোহাম্মদ মিজান

সময়ের উক্তি ((((লেখক✍️মোহাম্মদ মিজান)))) বিবস্ত্রকে নির্লজ্জ বললে কিবা যায় আসে ! যাঁকে দেখে লজ্জা শরম মিটমিটিয়ে হাসে! হিংসুটেরা মহা খুশি আজ মাজারে করবে ফুর্তি, তাড়িয়ে ছাড়ল কুরআন পাখি দিয়ে ভ্রান্ত যুক্তি । অন্ধের দেশে   কুরআন আয়না          বেচতে এলেন                   আজহারী,             গাঁজার কোলকি           হাতে নিয়ে    তাড়িয়ে ছাড়ল মাজারী। (মোহাম্মদ মিজান) কে মাজারী?কে বাজারি? চিনিয়ে দিল আজহারী, বুঝে গেছেন এ যুবসমাজ কুরআন বেশি দরকারি। (মোহাম্মদ মিজান) নর্তকী আর হরতকি কদিন থাকে শাখে? ভালো মানুষেরা এ তেল গায়ে কি আর মাখে? (((মোহাম্মদ মিজান))) ঝর্ড় বৃষ্টি কিছুই নেই তবু হুজুরের       জনপ্রিয়তার সংকট , বর্তমান যুবসমাজ সচেতন তাই        শুরু হয়েছে বয়কট। (((মোহাম্মদ মিজা...